শ্রেষ্ঠ আল মাহমুদ

500.00৳ 


আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবিতার অন্যতম প্রধান পুরুষ। লোক-লোকান্তর (১৯৬৩) থেকে শুরু করে কালের কলস (১৯৬৬), সোনালি কাবিন (১৯৭৩), মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো (১৯৭৬), অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না (১৯৮০), বখতিয়ারের ঘোড়া (১৯৮৫), আরব্য রজনীর রাজহাঁস (১৯৮৭), প্রহারান্তের পাশফেরা (১৯৮৮), একচু হরিণ (১৯৮৯), মিথ্যাবাদী রাখাল (১৯৯৩), আমি দুরগামী (১৯৯৪), হৃদয়পুর (কলকাতা, ১৯৯৫), দোয়েল ও দয়িতা (১৯৯৭), দ্বিতীয় ভাঙন (২০০০), নদীর ভিতরে নদী (২০০১), উড়াল কাব্য (২০০৩) এবং সর্বশেষ প্রকাশিত বিরামপুরের যাত্রী (২০০৪) পর্যন্ত তার কবিতার যে বিস্তার, তা হল আধুনিক বাংলা কবিতারই দিগ্বিজয় মাত্র। তার সম্পর্কে বলা হয়, তিনি জসীমউদ্‌দীন ও জীবনানন্দ দাশের কবিতা থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এক ধারার প্রবর্তক। তার কবিতায় সমকালীন বাংলাদেশের গ্রাম-জনপদ, নদী-নালা, নর-নারী, প্রকৃতি এবং লোকসাহিত্যের বিপুল সম্পদ নিংড়ে এক নতুন কাব্যভাষার বিচ্ছুরণ ঘটেছে। তিনি আধুনিক বাংলাভাষার চলতি ধারার মধ্যে আঞ্চলিক শব্দের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে এক ধরনের স্বাদযুক্ত নতুন কাব্যভাষা নির্মাণে সম হয়েছেন। আবার অন্যদিকে সাম্প্রতিক বিশ্বের আলোড়নময় প্রতিটি ঘটনাই তাকে আলোড়িত করেছে।
কবিতার পাশাপাশি কথাসাহিত্যেও আল মাহমুদের আবির্ভাব এদেশের গদ্য সাহিত্যের ইতিহাসে আরেক যুগান্তকারী ঘটনা। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পরে পত্রপত্রিকায় তার পানকৌড়ির রক্ত, কালোনৌকা, জলবেশ্যা প্রভৃতি গল্প প্রকাশিত হলে সবাই একবাক্যে স্বীকার করে নেন, তিনি আমাদের সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিই শুধু নন, অপ্রতিদ্বন্দ্বী গল্পকারও। এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত গল্পগ্রন্থগুলো হচ্ছে─পানকৌড়ির রক্ত (১৯৭৫), সৌরভের কাছে পরাজিত (১৯৮৩), গন্ধবণিক (১৯৮৮) ময়ূরীর মুখ (১৯৯৪) এবং নদীর সতীন (২০০৪)।
একইভাবে উপন্যাস লেখায়ও আল মাহমুদ সিদ্ধহস্তের প্রমাণ দিয়েছেন। তার ডাহুকী (১৯৯২), কাবিলের বোন (১৯৯৩), উপমহাদেশ (১৯৯৩), কবি ও কোলাহল (১৯৯৩), পুরুষ সুন্দর (১৯৯৪), নিশিন্দা নারী (১৯৯৫), মরু মূষিকের উপত্যকা (১৯৯৫), আগুনের মেয়ে (১৯৯৫), যে পারো ভুলিয়ে দাও (১৯৯৬), পুত্র (২০০০), চেহারার চতুরঙ্গ (২০০১) প্রভৃতি উপন্যাস তঁঅকে দেশের শীর্ষস্থানীয় কথাশিল্পীর সম্মান এনে দিয়েছে।
আল মাহমুদ শিশু-কিশোরদের জন্যও ছড়া-কবিতা লিখেছেন। শিশু-কিশোরদের জন্য তার লেখা কয়েকটি বই হচ্ছে ─ পাখির কাছে ফুলের কাছে (১৯৮০), একটি পাখি লেজ ঝোলা (২০০০), মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) (১৯৮৯) ও মোল্লাবাড়ির ছড়া (২০০৫)। এছাড়া তিনি দিনযাপন (১৯৯০), কবির আত্মবিশ্বাস (১৯৯১), নারী নিগ্রহ (১৯৯৭), কবির সৃজনবেদন (২০০৫) প্রভৃতি প্রবন্ধের বইও লিখেছেন। লিখেছেন আত্মজীবনীমূলক বই যেভাবে বেড়ে উঠি (১৯৮৬) এবং ভ্রমণ কাহিনী কবিতার জন্য বহুদূর (১৯৯৭) ও কবিতার জন্য সাত সমুদ্র (১৯৯৯)।

3 in stock

SKU: Abosar Prokashana Sangstha_341 Categories: ,

Book Details

Weight0.8 kg
Publisher

Abosor অবসর

Reviews

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.